ছবি: পাগলা মসজিদ |
পাগলা মসজিদ মানুষের কাছে সুপরিচিত এক নাম। মানুষ তাদের মনের আশা পূরণের জন্য এই মসজিদে টাকা পয়সা এমনকি স্বর্ণালংকারও দান করে থাকে। অনেকে আসে মান্নতের নামাজ পড়ার জন্য, অনেকে আসে ঘুরতেও। সাধারণত পাগলা মসজিদের দানবাক্সে বিপুল পরিমাণ দানের টাকা জমা পড়ে আর এটা সবার জানাও রয়েছে। কিন্তু এবার ঘটেছে ব্যতিক্রম কিছু।
আজ কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান বাক্স খোলা হয়েছে। যাতে পাওয়া গেছে ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা। ব্যতিক্রম হিসেবে পাওয়া গেছে বেশ কিছু চিঠিপত্রও। হরেক রকমের চিঠি। একেক চিঠিতে একেক ধরনের লেখা, একেক অভিব্যক্তি ।
বেনামে জমা হওয়া এক চিঠি হাতে নিয়ে দেখা গেলো পৃষ্ঠাভর্তি লেখা। সেই চিঠিতে প্রেরক গুটিগুটি অক্ষরে লিখেছে “প্রিয় তানহা! তোমার সাথে আর মন খুলে কথা বলা হলো না। সেদিন কতো করে বললাম পরীক্ষার পর কলেজের বারান্দাতে দাঁড়াতে । কিন্তু তুমি দাঁড়ালে না। আমি কিন্তু ঠিকই দাড়িয়ে ছিলাম। অপেক্ষা করেছিলাম। অপেক্ষা করেছিলাম মরাটে বিকেলের মতো। হেমন্তের প্রথমা সন্ধ্যার মতো। কিংবা আজীবন সাজাপ্রপ্ত, দন্ডপ্রাপ্ত আসামীর মতো। কিন্তু তুমি, তুমি আসলে না। শুনতে চাইলে না-আমি আসলে তোমাকে কী বলতে চাই!”
অন্য আরেকটি চিঠির লেখা ছিলো এমন, “প্রিয় খাদিজা আক্তার লিপি, আজ এই ঐতিহাসিক মসজিদে তোমার নামের একটা মান্নত পূর্ণ করলাম। তুমি নেই তো কি হয়েছে? তোমার দেয়া স্মৃতি নিয়ে বাঁচবো আজীবন। আমার কি দোষ ছিল তুমি একটা হিন্দু ছেলের সাথে সম্পর্ক রেখে আমাকে এইভাবে নষ্ট করলে । আমি তোমাকে অভিশাপ দিব না। তোমাকে হবিগঞ্জ শহর আমি অনেক দেখেছি কিন্তু তোমার মত কাউকে পেলাম না। আমি আশা রাখি তুমি এক সময় আমার হবে। যদি তুমি আমার না হও তবুও কোন আফসোস থাকবে না।
এছাড়াও শৈশবে স্মৃতি, পরিবারের সাথে কাটানো দিন, ভবিষ্যতে হজ পালনের আশা এমন অনেক বিষয় নিয়ে লেখা একাধিক চিঠি পাওয়া গেছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন