ছবি: ইন্টারনেট |
বিশ্ব ইজতেমা বাংলাদেশের মুসল্লিদের কাছে এক আবেগের নাম। সাবাই বছর অপেক্ষায় থাকে বিশ্ব ইজতেমার জন্য। কিন্তু গত কিছু বছর যাবত ইজতেমা নিয়ে চলে আসা দুই দলের বিরোধ যেন মুসল্লিদের সে আশা আকাঙ্ক্ষার অপেক্ষায় পানি ঢেলেছে রীতিমতো। এবার গাজীপুরের টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে মাওলানা সাদ এবং জুবায়েরপন্থিদের মধ্যে বিরোধ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে সাদপন্থিরা ৫ দিনের জোড় ইজতেমার আয়োজন করতে চাইলেও, শুরায়ে নেজাম (জুবায়েরপন্থি) তাদের সে জোড় ইজতেমার বিরোধিতা করছে। সরকারি অনুমতি না থাকায় এই জোড় ইজতেমা করা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যেই উত্তেজনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গত ১৫ ডিসেম্বর, শুরায়ে নেজামের সদস্য মোহাম্মদ হোসেন সাদপন্থিদের শীর্ষ মুরুব্বি সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামসহ ১৫ জনকে বিবাদী করে টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে, সাদপন্থিরা অবস্থান ধর্মঘট করার সময় শুরায়ে নেজাম জুবায়েরপন্থীদের ওপর একটি দ্রুতগামী গাড়ি ওঠিয়ে দিয়ে হত্যা চেষ্টা করেছে। এতে সাঈদ আহমদ (২০) নামের এক যুবক মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছে। মামলায় আরও বলা হয়েছে, গাড়ির ধাক্কায় সাঈদ আহমদ ছাড়াও আরো একজন আহত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ইজতেমা ময়দানে সংঘর্ষের ঘটনায় সাদপন্থিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে জুবায়েরপন্থিরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছিলেন। সেদিন স্টেশন রোডে জুবায়েরপন্থীদের হামলার শিকার হয়ে ১২ ডিসেম্বর সাদপন্থি মো. শিহাব উদ্দিন টঙ্গী পশ্চিম থানায় ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
শুরায়ে নেজাম জুবায়েরপন্থীদের দাবি, সাদপন্থিরা সরকারি অনুমতি ছাড়াই ইজতেমা আয়োজনের চেষ্টা করছে, যা আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী।
অন্যদিকে, আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি এবং ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি এই দুই তারিখে দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। জুবায়েরপন্থী শুরায়ে নেজাম ইতিমধ্যে ইজতেমার প্রস্তুতি হিসেবে ৫ দিনের জোড় ইজতেমা সম্পন্ন করেছে। সাদপন্থিরাও ২০ ডিসেম্বর তাদের জোড় ইজতেমা আয়োজনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, উভয় পক্ষের দায়ের করা দুটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে এবং সেগুলোর তদন্ত চলছে। আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন