ছবি: ইন্টারনেট |
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি আজ সকালে (৯ ডিসেম্বর) ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। এটি তার পররাষ্ট্রসচিব হিসেবে বাংলাদেশে প্রথম সফর। বিশেষ একটি ফ্লাইটে ঢাকা আসার পর তিনি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক নানা ধরণের উত্তেজনার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই বৈঠক সম্পন্ন হলে এ অবস্থায় এটিই হবে দুই দেশের মধ্যে প্রথম উচ্চপর্যায়ের বৈঠক।
দুই দেশের উত্তেজনাপূর্ণ অবস্থা
সম্প্রতি বেশ কিছু ইস্যুতে দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে, আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার পতনের পর দিল্লিতে আশ্রয় নেওয়া থেকে কূটনৈতিক সম্পর্কে অস্বস্তি বাড়তে থাকে। এর পর সম্মিলিত সনাতন জাগরণী মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতার পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে।
বিশ্লেষকদের বলছেন, এই বৈঠক কেবল দুই দেশের মধ্যে কথোপকথনের মাধ্যমেই সীমাবদ্ধ থাকবে না; বরং সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের একটি সুযোগ হতে পারে।
আলোচনার সম্ভাব্য বিষয়
বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক নানা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে। এর মধ্যে সীমান্ত হত্যা, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, ভিসা জটিলতা, বাণিজ্যিক বাধা এবং বাংলাদেশে ভারতীয় গণমাধ্যমের ভূমিকা বিশেষভাবে গুরুত্ব পাবে। পাশাপাশি, ভারতের বাজারে বাংলাদেশি পণ্য প্রবেশে বাধা এবং ভারতের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ নিয়েও আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।
সম্পর্ক উন্নয়নের প্রত্যাশা
গত বছর দিল্লিতে সর্বশেষ এই ধরনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এবার পরিস্থিতি আরও ভিন্ন এবং স্পর্শকাতর হওয়ায় এ বৈঠককে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছেন অনেকেই। যদিও বিশ্লেষকরা বলছেন, বড় কোনো অগ্রগতি বা চুক্তির সম্ভাবনা কম, তবে আলোচনার মাধ্যমে সম্পর্কের জট খোলার চেষ্টা করা হবে।
আজ রাতেই বিক্রম মিশ্রির দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে। তবে তার সফরের ফলাফল দুই দেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কের গতিপথ নির্ধারণে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন