বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত সবজি বিক্রেতা রায়হান মিয়া (৩০) ও তার পরিবারের সদস্যরা এখন জীবনের কঠিন সময় পার করছেন। ৯ সদস্যের পরিবার নিয়ে এখন বিপাকে পড়েছে রায়হান। এক সময় ভ্যানগাড়িতে পাড়ায় পাড়ায় সবজি বিক্রি করে দিন পার করতে পারলেও, সুস্থ্য হওয়ার জন্য শরীরে পাঁচবার অস্ত্রোপচার করে পথে বসেছেন। এখন টাকার অভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও কিনতে পারছেন না। ঠিকঠাক ভাবে চুলায় আগুনও জ্বলে না তিন বেলা ।
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার দোয়াখানী মহল্লার আব্দুল হামিদের ছেলে রায়হান, ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়ে পুলিশের গুলিতে তার পেট ছিদ্র হয়ে যায়। পরে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রায়হান টানা চার মাস কাটিয়েছেন।
এদিকে রায়হান জানান, তার চিকিৎসা ব্যয় প্রায় ৫ লাখ টাকার কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা তিনি আত্মীয়-স্বজন এবং স্থানীয়দের কাছ থেকে ধার নিয়ে জোগাড় করেছেন। বর্তমানে পাওনাদারেরা টাকার জন্য বাড়িতে আসছে । রায়হান ও তার পরিবারের সদস্যরা এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
তার স্ত্রী আরফিনা বেগম জানান, "আমার স্বামী কাজ করতে পারেন না, সেলাইয়ে ব্যথা হয়। ছোট দেবররা সামান্য রোজগার করে, তাতে সংসার চলে না। মাঝে মাঝে না খেয়ে থাকতে হয়।"
রায়হানের বাবা আব্দুল হামিদ বলেন, “আমার ছেলে স্বৈরাচার মুক্তির জন্য গুলিবিদ্ধ হয়েছে, কিন্তু ৫ মাস পরেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সহায়তা আসেনি। এ নিয়ে আমি হতাশ।"
এ বিষয়ে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, "রায়হানের বিষয়ে আমি অবগত আছি। তার সঙ্গে কথা বলে সরকারের পক্ষ থেকে তাকে সহায়তা করার চেষ্টা করা হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন