উত্তর-পশ্চিম চীনের আঞ্চলিক সরকার ভারত ঘেঁসে সম্প্রতি তাদের দুটি নতুন
'কাউন্টি' বানানোর ঘোষণা দিয়েছে। ভারতের খুব কাছাকাছি অঞ্চলে চিনের এই দুই নতুন প্রশাসনিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা ঘোষণার পর এর প্রতিবাদ জানিয়েছে নয়াদিল্লি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চীনের এই ঘোষনায় উদ্বেগ জানিয়ে বলেছে,
চীনের ঘোষিত কাউন্টির বেশকিছু অংশ ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখ সীমানার মধ্যে পড়েছে।
ভারত জানিয়েছে, প্রতিবেশী চীন তাদের দুটি কাউন্টি বানানোর ঘোষণার পর দিল্লি কূটনৈতিক ভাবে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে।
এর আগে, চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিনহুয়া গত ২৭ ডিসেম্বর জানান, চীনের উত্তর-পশ্চিম জিনজিয়াং উইঘুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের সরকার দুটি নতুন কাউন্টি বানানোর ঘোষণা দিয়েছে। দুটি কাউন্টির যথাক্রমে নাম রাখা হয়েছে, হে'আন এবং হেকাং। রাষ্ট্রীয় পরিষদ এবং কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি এই কাউন্টি দুটির অনুমোদন দিয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, চীনের ঘোষিত তথাকথিত কাউন্টিগুলোর বেশকিছু অংশ লাদাখে অঞ্চলে পড়েছে। ভারত কখনই তাদের নিজ ভূখণ্ডে চীনের অবৈধ দখলদারিত্বকে মেনে নেবে না।
তিনি আরো বলেন, চীন কর্তৃক দুটি নতুন কাউন্টি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা আমাদের চোখে পড়েছে। এই তথাকথিত কাউন্টিগুলোর কিছু অংশ ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে পড়েছে। এই এলাকায় ভারতীয় ভূখণ্ডে চীনের বেআইনি দখলদারিত্ব আমরা কখনই মেনে নেইনি।
রণধীর জয়সওয়াল জানান, নতুন কাউন্টি গঠন সেই অঞ্চলের ওপর ভারতের সার্বভৌমত্বের বিষয়ে দীর্ঘস্থায়ী ও ধারাবাহিক অবস্থানের কোনরকম প্রভাব ফেলবে না এমনকি ভারতীয় অঞ্চলে চীনের অবৈধ ও জোরপূর্বক দখলদারিত্বকেও কখনও বৈধতা দেবে না। আমরা কূটনৈতিক ভাবে এই বিষয়ে চীনের কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছি।
অন্যদিকে গত ২৫ ডিসেম্বর সরকারী সংবাদ মাধ্যম সিনহুয়া আরেকটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের ইয়ারলুং সাংপো নদীতে একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করতে যাচ্ছে চীন।
এর জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের উপর চীনা জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের বিষয়েও ভারত ইতোমধ্যে উদ্বেগ জানিয়েছে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন