ইয়েমেনি যোদ্ধাদের ভয়ে লোহিত সাগর এড়িয়ে চলছে মার্কিন জাহাজ, দিন দিন বাড়ছে খরচ

লোহিত সাগর এড়িয়ে চলছে মার্কিন জাহাজ, বাড়ছে খরচ    ইয়েমেনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের লাগাতার হামলার মুখে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলে বড় পরিবর্তন এসেছে। নিরাপত্তার ঝুঁকি এড়াতে অধিকাংশ মার্কিন পতাকাবাহী জাহাজ এখন লোহিত সাগর এড়িয়ে বিকল্প পথ ব্যবহার করছে।    মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ জানিয়েছেন, হামলার শঙ্কায় জাহাজগুলো এখন আফ্রিকার দক্ষিণ প্রান্ত ঘুরে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে। সিবিএস ফেস দ্য নেশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমাদের জাহাজগুলোর ৭৫ শতাংশই এখন সুয়েজ খালের পরিবর্তে আফ্রিকার দক্ষিণ উপকূল হয়ে চলাচল করছে।    তিনি আরও জানান, সম্প্রতি লোহিত সাগর পার হওয়ার সময় একটি মার্কিন ডেস্ট্রয়ারে একসঙ্গে ২৩ বার হামলার চেষ্টা চালানো হয়।    শিপিং গবেষণা সংস্থা এলএসইজি বলছে, নতুন রুট অনুসরণ করায় ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যে পণ্য পরিবহনের সময় দ্বিগুণ হয়ে যাবে। এতে প্রতিটি জাহাজের জন্য প্রায় ১০ লাখ ডলার অতিরিক্ত খরচ হবে।    ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলা বাড়িয়েছে ইয়েমেনি যোদ্ধারা    গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হামলা আরও তীব্র করেছে ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো। তারা লোহিত সাগর, বাব এল-মান্দেব, এডেন উপসাগর এবং আরব সাগরে মার্কিন ও ইসরায়েলি জাহাজ লক্ষ্য করে একাধিক হামলা চালিয়েছে।    সোমবার ২৪ মার্চ ভোরে নতুন করে একাধিক হামলার ঘোষণা দিয়েছে ইয়েমেনি যোদ্ধারা। তারা তেল আবিবের বেন গুরিওন বিমানবন্দর লক্ষ্য করে হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের হুমকি দিয়েছে। একইসঙ্গে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস হ্যারি এস. ট্রুম্যান ও এর সঙ্গে থাকা যুদ্ধজাহাজে হামলার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছে তারা।    যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা হামলা    ইয়েমেনি হামলার জবাবে যুক্তরাষ্ট্রও পাল্টা হামলা চালিয়েছে। গত ২১ মার্চ সাদা, হোদেইদা, সানা ও আল-বায়দাসহ ইয়েমেনের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী। সংবাদমাধ্যম আল মায়াদিন জানিয়েছে, হোদেইদার আল-তুহায়তায় ছয়টি হামলা চালানো হয়।    মার্কিন প্রশাসনের কৌশল নিয়ে নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ বলেন, ইয়েমেনি আক্রমণের বিরুদ্ধে আরও আগেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। আমার বিশ্বাস, ট্রাম্প প্রশাসন থাকলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হতো।    বিশ্লেষকদের মতে, এই সংঘাত শুধু মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তার জন্য নয়, বৈশ্বিক বাণিজ্যের জন্যও বড় ধরনের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। লোহিত সাগরে চলমান উত্তেজনা আন্তর্জাতিক শিপিং খাতে অস্থিরতা বাড়িয়ে তুলছে।

ইয়েমেনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের লাগাতার হামলার মুখে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলে বড় 

পরিবর্তন এসেছে। নিরাপত্তার ঝুঁকি এড়াতে অধিকাংশ মার্কিন পতাকাবাহী জাহাজ এখন লোহিত সাগর এড়িয়ে বিকল্প পথ ব্যবহার করছে।

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ জানিয়েছেন, হামলার শঙ্কায় জাহাজগুলো এখন আফ্রিকার দক্ষিণ প্রান্ত ঘুরে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে। সিবিএস ফেস দ্য নেশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমাদের জাহাজগুলোর ৭৫ শতাংশই এখন সুয়েজ খালের পরিবর্তে আফ্রিকার দক্ষিণ উপকূল হয়ে চলাচল করছে।

তিনি আরও জানান, সম্প্রতি লোহিত সাগর পার হওয়ার সময় একটি মার্কিন ডেস্ট্রয়ারে একসঙ্গে ২৩ বার হামলার চেষ্টা চালানো হয়।

শিপিং গবেষণা সংস্থা এলএসইজি বলছে, নতুন রুট অনুসরণ করায় ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যে পণ্য পরিবহনের সময় দ্বিগুণ হয়ে যাবে। এতে প্রতিটি জাহাজের জন্য প্রায় ১০ লাখ ডলার অতিরিক্ত খরচ হবে।

গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হামলা আরও তীব্র করেছে ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো। তারা লোহিত সাগর, বাব এল-মান্দেব, এডেন উপসাগর এবং আরব সাগরে মার্কিন ও ইসরায়েলি জাহাজ লক্ষ্য করে একাধিক হামলা চালিয়েছে।

সোমবার ২৪ মার্চ ভোরে নতুন করে একাধিক হামলার ঘোষণা দিয়েছে ইয়েমেনি যোদ্ধারা। তারা তেল আবিবের বেন গুরিওন বিমানবন্দর লক্ষ্য করে হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের হুমকি দিয়েছে। একইসঙ্গে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস হ্যারি এস. ট্রুম্যান ও এর সঙ্গে থাকা যুদ্ধজাহাজে হামলার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছে তারা।

ইয়েমেনি হামলার জবাবে যুক্তরাষ্ট্রও পাল্টা হামলা চালিয়েছে। গত ২১ মার্চ সাদা, হোদেইদা, সানা ও আল-বায়দাসহ ইয়েমেনের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী। সংবাদমাধ্যম আল মায়াদিন জানিয়েছে, হোদেইদার আল-তুহায়তায় ছয়টি হামলা চালানো হয়।

মার্কিন প্রশাসনের কৌশল নিয়ে নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ বলেন, ইয়েমেনি আক্রমণের বিরুদ্ধে আরও আগেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। আমার বিশ্বাস, ট্রাম্প প্রশাসন থাকলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হতো।

বিশ্লেষকদের মতে, এই সংঘাত শুধু মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তার জন্য নয়, বৈশ্বিক বাণিজ্যের জন্যও বড় ধরনের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। লোহিত সাগরে চলমান উত্তেজনা আন্তর্জাতিক শিপিং খাতে অস্থিরতা বাড়িয়ে তুলছে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন